Thursday, October 29, 2015

যুলুম কাকে বলে? যুলুমের কুফল এবং এর প্রতিকারের উপায় নিয়ে আলোচনা কর

প্রশ্নঃ যুলুম কাকে বলে? যুলুমের কুফল এবং এর প্রতিকারের উপায় নিয়ে আলোচনা কর।
উপস্থাপনা
আল্লাহ সুবানা ওয়া তা’য়ালা বলেন,
নিশ্চয় যুলুমকারীদের কোন সাহায্যকারী নেই। [হজ্জঃ৭১]
আজকাল আমরা সর্বদা ব্যক্তিগত,পারিবারিক,সামাজিক,রাষ্ট্রীয়,অর্থনৈতিক ইত্যাদি বিভিন্ন উপায় যুলুমের স্বীকার হয়ে থাকি।যুলুমকে অনেকে কোন গুনাহ মনে করে না।অথছ ইসলামের দৃষ্টিতে যুলুম একটা মহাপাপ ও অন্যায়। যুলুমকারীদের শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ পাক পবিত্র কুরানের অসংখ্য আয়াতে বিশদ বর্ণণা দিয়েছেন। রিয়াদুস সালেহীনের আলোকে যুলুম সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা নীচে দেওয়া হলঃ

যুলুম কি
যুলুম আরবী শব্দ যার অর্থ হল অত্যাচার,নির্যাতন,নীপিড়ন,বঞ্চণা,প্রবঞ্চনা,উৎপীড়ন,ভরাক্রান্ত কাজ,ভারসাম্য রক্ষা না করা, To put down, to cut; to suppress, to rush out ,to violate clung৬.  ইত্যাদি।

পারিভাষিক অর্থে, কোন জিনিস যথার্থ স্থানে না রাখা হল যুলুম।
আবার কেউ কেউ যুলুম বলতে বুঝিয়েছেন মযলুমের এমন সত্ত্বা যার উপর সম্পদ আর ইজ্জতের আক্রমন করা হয়।
আবার কেউ বলেছেন, কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা, গালি দেওয়া, আক্রমন করলে, অভিশাপ দিলে, কষ্ট দিলে তাহলে তা যুলুম হবে।
আবার কোন মুসলমান ভাইয়কে অধিকার হতে বঞ্চিত রাখার নাম হল যুলুম।
এক কথায়, অন্যায়ভাবে যা কিছু করা হয় তাই হল যুলুম।

যুলুমের ধরন
যুলুম এমনি একটি অন্যায় যা ইসলামে অত্যন্ত কঠোরভাবে নিষিদ্ব। এর ধরন বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে.। তা হল
১. জীবনের উপর যুলুমঃ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে
২.সম্পদের উপর যুলুমঃ কারও সম্পদ অন্যায়ভাবে ক্রোক করে।
৩.সম্ভ্রমের উপর যলুমঃ কারও সাথে জোড়পুর্বক মিলন স্থাপন করা।
৪.অধিকার হরণ করার যুলুমঃ কাউকে তার মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত করা
৫।ইজ্জতের উপর যুলুমঃ কারও নামে অপবাদ বা কাউকে সম্মুখে অপমান করা।
৫.অন্য কারো আইন মানা আল্লাহের আইন বাদ দিয়েঃ আল্লাহ যে হুকুম দিয়েছেন তা না মেনে অন্য আইন মানা
৬.ভূমির উপর যুলুমঃ কেউ কারও জমি অন্যায়ভাবে দখল করা
৭। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ারঃ  কেউ আদালতে এসে মিথ্যা বলে আসামীকে ফাসিয়ে দেয়।
৮। মজুরী আদায় না করেঃ শ্রমিককে যদি যথার্থ মজুরী না দেওয়া হয় তবে তা হবে যুলুম
৯.ইয়াতীমের মাল ভক্ষণঃ অর্থাৎ যাদের মা বাবা নাই তাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করা হল এক ধুনের চরম পর্যায়ের যুলুম।
যে যুলুম করে সে যালিম আর যে যালিমকে সাহায্য করবে সেও যালিম। হাদীসের পরিভাষায় তারা উভয় জাহান্নামী।যুলুমের পরিনাম অত্যন্ত ভয়াভহ। যুলুমের কিছু কুফল সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হল।
যুলুমের কুফল
যুলুম এমন এক ধরনের গুনাহ যার পরিনাম অত্যন্ত করুণ এবং ভয়াবহ।যুলুমের কিছু কুফল নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
১. সাহায্য হতে বঞ্চিত
   যারা যুলুম করবে তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী থাকবে না। তাদেরকে কেউ এই দুনিয়াতেও নয় তদ্রুপ আখিরাতেও কেউ কেউ বিপদের হাত হতে রক্ষা করতে পারবে না।এজন্য আল্লাহ পাক বলেন,
              “যালিমদের কোন সাহায্যকারী হবে না” [হজ্জঃ৭১]
২. শাফায়াত হতে বঞ্চিত
     যুলুমকারীগণ এতটাই হতভাগা যে তাদের জন্য কাল কিয়ামতের দিন কেউ সুপারিশকারী হবে না। এ ব্যাপারে স্বয়ং রব্বুল আলামীন বলেন,
            “যালিমদের জন্য কোন দরদী বন্ধু হবে না, এমন কি তাদের জন্য কোন সুপারিশকারী থাকবে না যার কথা মেনে নেওয়া হবে” [মুমিনঃ১৮]
৩. আল্লাহ এর নিকট অপছন্দীয়
 যারা যুলুম করবে তারা আল্লাহ পাকের অসুন্তুষ্টি চিরকালের জন্য অর্জন করবেন আর যারা তা অর্জন করবে তাদের পরিনাম অত্যন্ত ভয়াবহ।এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন,
        “নিশ্চয় আল্লাহ যালেমদের ভালবাসেন না………তাদের জন্য রয়েছে মর্মদুন্ত শাস্তি [শুরাঃ৪০]
৪.আল্লাহ পাকের কঠোর আযাব
  আল্লাহ পাক যখন যালেমদেরকে পাকড়াও করবেন তখন তাদেরকে ভীষণ আযাবের ভিতর গ্রেফতার করবেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন,
        “তিনি যখন কোন যালেম সম্প্রদায়কে পাকড়াও করেন তখন  এমনিভাবে পাক্ড়াও করেন।তার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন ও নির্মম। [হূদঃ১০২]
৫. যুলুম নিষিদ্ব
   আল্লাহ পাক একে অপরের প্রতি যুলুমকে কঠোরভাবে নিষিদ্ব করেছেন। তাই তিনি বলেন,
        “তোমরা একে অন্যকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে না” [মায়িদা]
             “তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যাভাবে গ্রাস কর না” [নিসাঃ২৯]
  তাছাড়া রাসূলে করিম (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের উপর এক মুসলমানের জন্য আরেক মুসলমানের রক্ত,ইজ্জত ও সম্পদ হারাম”। (মুসলিম)
           অর্থাৎ,যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের কথার অমান্য করবে তাদের শেষ পরিণতি খারাপ হবে।
৬. হাশরের ময়দানে দুরাবস্থা
       যালিমদের অবস্থা কাল কিয়ামতের দিন অত্যন্ত করুন হবে। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
    “যুলুম থেকে দূরে থাক। কারন তা কাল কিয়ামতের দিন অন্ধকারাছন্ন ধোঁয়ায়ে পরিণত হবে”।(মুসলিম)                                                                                                                                       
৭.নবী সাথে সম্পর্কোচ্ছেদ
       যুলুম এতটাই জঘন্য অপরাধ যে ব্যক্তি যুলুম করবে তার সাথে নবী করিম (সাঃ) এর সাহতে সম্পকোচ্ছেদ হবে।এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
   “আমার পর এমন শাসক আসবে যারা যুলুম করবে। যারা যুলুম করবে আর তাদেরকে সহায়তা করবে তাদের থেকে আমি মুক্ত এবং তারা আমার থেকে মুক্ত”।[কিরমিয়ে শাহাদাৎ]
৯. ইবাদত অগ্রহণযোগ্য
   যারা যুলুম করে একে অপরের মাল ভক্ষণ করবে তাদের ইবাদত যত বড় হোক না কেন তা আল্লাহের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি হারাম (জুলুম করে) মাল খায়, তার ফরয কিংবা নফল কোন আম্ল গ্রহণযোগ্য হবে না”।[মা’রিফুল হাদিস] 
১০. শয়তানের সাথী
জুলুম করলে শুধুমাত্র নবীর সাথে সম্পর্কোচ্ছেদ হয় না বরং তার সাথে আল্লাহের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং শয়তান তাদের বন্ধু হয়ে যায়। এ ব্যাপারে রাসূলে করিম (সাঃ) বলেছেন,
      “মানুষ যখন বেইনসাফি নীতি গ্রহণ করে (যুলুম করে) তার সাথে আল্লাহের কোন সম্পর্ক থাকে না আর শয়তান তার সাথী হয়ে যায়”। (তিরমিযি)
১১. কিয়ামতের দুরাবস্থা
যারা যুলুম করে মানুষের জমি লুণ্ঠন করবে তাদের অবস্থা হাশরের ময়দানে অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।আল্লাহ পাক বলেন, “যে ব্যক্তি এক বিঘত জমি অন্যায়ভাবে লুন্ঠণ করবে কাল কিয়ামতের দিন সাত তবক পরিমান জমি তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে”। (মুসলিম)
১২. হাশরের ময়দানে তার শোধ আদায়
যারা যুলুম করবে আল্লাহ পাক কাল কিয়ামতের দিন তার শোধ আদায় করাবেন মযলুম ব্যক্তিদের কাছ থেকে।এ ব্যাপারে মহানবী (সাঃ) বলেন,
      “প্রত্যেক পাওনাদারের পাওনা আল্লাহ পাক কাল কিয়ামতের দিন আদায় করাবেন।এমন কি শিংবিহীন বক্রীকে শিং দেওয়া হবে শিংযুক্ত বক্রীর কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য। (মুসলিম)
১৩. জাহান্নাম অবধারিত
   যারা যুলুম করবে তাদের জন্য জাহান্নামের আগুন একেবারে অবধারিত। মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথের মাধ্যমে কোন মুসলমানের হক আত্মসাৎ করল, তার জন্য আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন আর জাহান্নাম তার জন্য অবধারিত”। (মুসলিম)
১৪. নেককারগণ জাহান্নামী
     যুলুম আত্মসাৎ এর জন্য অনেক নেককার বান্দাগণ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হাদীসে এসেছে যে, কিরকিরা নামক এক ব্যক্তি ইন্তেকাল করলে পরে মুহাম্মদ(সাঃ) ঘোষণা দিলেন যে কিরকিরা জাহান্নামী হয়েছে কারন তিনি একটা কাপড় আত্মসাৎ করেছিল। আবার এক জন শহীদ দোযখে গিয়েছিল কিন্তু একটি কাপড় আত্মসাৎ করেছিল বিধায় সে জাহান্নামী হয়েছিল।
১৫.বিধংসবী পৃথিবী
     যুলুমের দরুন শুধুমাত্র মানুষ আখিরাতে নয় বরং দুনিয়াতে কঠোর শাস্তি ভোগ করবে। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
     “আমার উম্মতের শেষ যমানায় পাপ কর্মের শাস্তিতে চেহারা বিকৃতি, আসমান হতে বিপদ অবতরণ ও ভূমি ধসের মত ঘটনা ঘটবে যা যালিমদের পক্ষ হতে ঘটবে।

   এমনিভাবে যুলুমের কুফল অত্যন্ত ভয়াবহ। হাদীসে আরও এসেছে যে, যালিম ব্যক্তিবর্গ মযলুমের উপর যুলুম করার অপরাধে তাদের সমস্ত নেক আমলগুলো মযলুমদের দিয়ে দিতে হবে এক সময় মযলুম ব্যক্তির গুনাহ বহন করে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।অর্থাৎ যুলুমের কুফল অত্যন্ত ব্যাপক।তাই আমরা নিজেদেরকে যুলুম থেকে বিরত রেখে নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলব। যুলুম প্রতিকারের উপায়সমূহ সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলঃ
যুলুম প্রতিরোধে ইসলাম
১. আদল প্রতিষ্ঠা
     যুলুমের বিপরীত শব্দ হল আদল অর্থাৎ ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করা।যুলুমকে প্রতিহত করার মূল চাবিকাঠি হল আদলভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। আল্লাহ পাক বলেন,
  “আল্লাহ আপনাকে আদল, ইনসাফ ও আত্মীয়দের সাথে সদাচারণ করার নির্দেশ দিচ্ছেন” [নাহলঃ৯০]
২. তাকওয়া অর্জন
       ইসলামী জীবন দর্শনে তাকওয়া হল সব গুণের মূল। এটি একটি মহৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। যারা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে তারা যাবতীয় পাপকার্যসমূহ তথা যুলুমের মত জঘন্য অপরাধ হতে বেঁচে থাকতে পারবে।আল্লাহ পাক বলেন,
    “আর যে ব্যক্তি তার রবের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং নিজেকে কু-প্রবৃত্তি হতে বিরত রাখে নিশ্চয় জান্নাত হবে তার আবাসস্থল। [সূরা আন নাযিয়াতঃ৪০-৪১]
৩.কলব সংশোধন
যুলুম প্রতিকারে এটি একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। যে ব্যক্তি তার কলবের সংশোধন করতে পারবে সেই নিজেকে যুলুম থেকে বিরত রাখতে পারবে।এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
       “মানুষের শরীরে একটি মাংস রয়েছে এটি ভাল থাকলে সমগ্র শরীর ভাল থাকবে আর এটি বিগড়ালে  সমগ্র শরীর বিগড়াবে(অর্থাৎ যুলুমে করতে তা সহায়তা করবে) ”।[বুখারী,মুসলিম]
৪.মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ অনুসরণ:   মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ এর ভিতর রয়েছে প্রকৃত সুখ-শান্তি সফলতা।মুহাম্মদ (সাঃ) কোনদিন কারও প্রতি যুলুম করেন নাই ঠিক তেমনিভাবে আমরা তার উম্মত হিসেবে যদি আমদের বাস্তব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার আদর্শের অনুসরণ করি তাহলে আমরা আমদের নিজেদেরকে যুলুম থেকে রক্ষা করতে পারব।
৫.ইনসাফ প্রতিষ্ঠা
  যুলুম প্রতিহত করার একটি অন্যতম প্রধান উপায় হল সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা।যুলুমকে প্রতিহত করতে ইনসাফ ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
  “যে ব্যক্তি ন্যায়-ইনসাফের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে কাল কিয়ামতের দিন অন্যান্য লোকদের থেকে তার মত আল্লাহের নিকটবর্তী আর অধিক প্রিয় কেউ হতে পারবে না”।[তিরমিযি]
৬.রক্ত প্রবাহিত না করে
  মুসলমানেরা যতক্ষণ পরস্পর নিরাপত্তা ও হেফাযতের সাথে বসবাস করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা একে অপরের উপর যুলুম থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবে। এ ব্যপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
মসলমানেরা ততক্ষণ নিরপত্তা আর হেফাযতের সাথে থাকবে যতক্ষণ না তারা পরস্পর রক্ত প্রবাহিত না করে”। [বুখারী]
৭.মুখ ও হাতকে খারাপ কাজ হতে রক্ষা করা
   মুখ ও হাত মানুষের এমন দুটি অঙ্গ যারদ্বারা একে অপরের ক্ষতি সাধন করে থাকে।এ দুটি অঙ্গকে যারা রক্ষা করবে তারা প্রকৃতপক্ষে একে অপরের উপর যুলুম করা থেকে বিরত রাখতে পারবে। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
  “মুসলমান সেই ব্যক্তি যার মুখের ও হাতের ক্ষতি হতে অন্যান্য মুসলমানেরা নিরাপদ থাকে”।[বু,মু ]
৮. সংগ্রাম করে
   অন্যায়ের বিরুধ্বে সংগ্রাম প্রতিরোধ করে যুলুমকে প্রতিহত করা যায়।এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
   “তোমরা যখন কোন অন্যায় (যুলুমের মত) করতে দেখ তখন তা তোমরা হাত দিয়ে প্রতিহত কর অথবা মুখ দিয়ে কর আর তাও সম্ভব না হতে চুপ করে থেক আর এটি হল ইমানের সর্বনিম্ন স্তর”।
অর্থাৎ আমরা আমাদের হাত ও মুখের দ্বারা আমরা আমদের সাধ্যানুযায়ী যুলুমকে প্রতিরোধ করব।
৯.ইসলামের বিধান মেনে চলা
ইসলাম এমন এক ধর্ম যা মানুষকে এ শিক্ষা দেয় যে তারা কীভাবে সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে।তাই আমরা প্রত্যেকে ইসলামী আইন-অনুশাষনসমূহ মেনে নিজেদের জীবনকে যুলুমহীন অবস্থায় সুন্দরভাবে গড়ে তুলব।
১০.জিহাদের মাধ্যমেঃ  জিহাদ অর্থ হল দূর করা। যদি যুলুমের মত কোন অন্যায় আমাদের চোখে পড়ে তাহলে তা প্রতিহত করার জন্য সবার আগে এগিয়ে যাব। মুহাম্মদ (সাঃ) এ ব্যাপারে বলেছেন,
          “যালিম শাষকদের বিরুধ্বে কথা বলা জিহাদ”।
১১. আল্লাহের গুণে গুণ্বানিত
         আল্লাহ এমন এক সত্তা যিনি কখন কারও উপর যুলুম করেন না।এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
    “সেদিন (হাশরের দিন) নেককার লোকদের তাদের বদলা দেওয়া হবে। তোমাদের কারও প্রতি যুলুম করা হবে না”। [কিরমিয়ে শাহাদৎ]
      আমরাও যদি আল্লাহের প্রিয় বান্দা হিসেবে এ অনুসরণ করতে পারি তাহলে আমরা নিজেদেরকে যুলুম হতে রক্ষা করতে পারব।
উপসংহার

        পরিশেষে এ কথা বলতে পারি যে, যুলুম একটি চরম গুনাহ ও অন্যায়। তাই আমরা নিজেদেরকে এ অপরাধ হতে দূরে রেখে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলব।

2 comments:

  1. Enter your comment...মাশা আল্লাহ্‌ খুবই সুন্দর ও তথ্যবহুল পোষ্ট।

    ReplyDelete
  2. সুন্দর ও তথ্যবহুল পোস্ট।

    ReplyDelete