Sunday, November 22, 2015

সৌদির অনুসরনে ঈদ পালন কতটা যুক্তিযুক্ত?



পৃথিবীর সর্বত্র একদিনে ঈদ পালন: একটি তাত্ত্বিক আলোচনা

মহান আল্লাহ বলেন,
سْأَلُونَكَ عَنِ الْأَهِلَّةِ  قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ
তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম।

মহানবী (সাঃ) বলেন,
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ " لاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوُا الْهِلاَلَ، وَلاَ تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ "‏‏.
হাদিস নং-১৮৯০
আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রমযানের কথা আলোচনা করে বললেনঃ চাঁদ না দেখে তোমরা সাওম পালন করবে না এবং চাঁদ না দেখে ইফতার করবে না। যদি মেঘাছন্ন থাকে তাহলে তাঁর সময় (ত্রিশ দিন) পরিমান পূর্ন করবে। (বুখারী)

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم " صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ، وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِنْ غُبِّيَ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا عِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلاَثِينَ "‏‏.

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ)অথবা বললেন, আবুল কাসিম (সাঃ)বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম আরম্ভ করবে এবং চাঁদ দেখে ইফতার করবে। আকাশ যদি মেঘে ঢাকা থাকে তাহলে শবানের গননা ত্রিশ পুরা করবে (বুখারী ও মুসলিম)

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ، لاَ نَكْتُبُ وَلاَ نَحْسُبُ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا "‏‏. يَعْنِي مَرَّةً تِسْعَةً وَعِشْرِينَ، وَمَرَّةً ثَلاَثِينَ‏.
হাদিস নং-১৮১৪
ইবনে উমর (রা) থেকে বর্নিত, নবী (সাঃ)করীম বলেনঃ আমরা উম্মী জাতি। আমরা লিখি না এবং হিসাবও করিনা। মাস এরুপ অর্থাৎ কখনও উনত্রিশ দিনের আবার কখনও ত্রিশ দিনের হয়ে থাকে। (বুখারী ও মুসলিম)

উপরোক্ত হাদীসের মাধ্যমে দুটি বিষয় উপস্থাপিত হল-      ১. হিসাব।
  ২. চাঁদ দেখা।
তবে ইসলামী শরীয়তে চাঁদকে দেখার উপরই রোযা ঈদকে নির্ভরশীল করা হয়েছে, হিসাব নিকাশের উপর নয়। যেমন আল্লাহর রাসূল বলেন-- لاَ نَكْتُبُ وَلاَ نَحْسُبُ
তাই নিচে رُؤْيَة তথা চাঁদ দেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-


*এখানে رُؤْيَة এর অর্থ যদি স্পষ্ট হয়ে যায় তবে এই মাসআলা অনেকাংশেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
 رُؤْيَة এর দুই ধরনের অর্থ রয়েছে-        ১. তার প্রকৃত অর্থ (حقيقى)
             ২. রূপক অর্থ (مجازى)
*প্রকৃত অর্থ (حقيقى) - বিভিন্ন অভিধান ঘেটে رُؤْيَة এর অর্থ জানা গেছে চর্মচক্ষু দ্বারা দেখা
* রূপক অর্থ (مجازى) - এই শব্দটির অর্থ হল জানতে পারা। এই অর্থে শব্দটি পবিত্র কোরআনে ৩০/৪০ স্থানে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন-
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
أَلَمْ تَرَ إِلَى الْمَلإٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ بَعْدِ مُوسَى
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيباً مِنْ الْكِتَابِ يَشْتَرُونَ الضَّلالَةَ


إختلاف المطالع
তারপরও رُؤْيَة আবার দুই প্রকার-  ১. স্বাভাবিক (طبعى)
                                  ২. যন্ত্রের সাহায্যে (إرادى)
ইসলামী  শরীয়তে ১ম টাকেই তথা  স্বাভাবিক (طبعى) টাকেই গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ চাঁদ বিদ্যমান থাকাটাই যথেষ্ট নয় বরং এমনভাবে থাকতে হবে যেন সকল সাধারণ লোক অনায়াসে দেখতে পারে কোন ধরনের যন্ত্রের প্রয়োজন হবে না।


এখন মাসআলার ব্যপারটি আলোচনা করা যাক-
v যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে কোন জিনিস প্রতিবন্ধক না হয় তবে রমজানই হোক আর ঈদই হোক দুটোর জন্যই অনেক লোকের সাক্ষ্য প্রয়োজন যাদের সংবাদে পূর্ণ বিশ্বাস হয় যে, চাঁদ উঠেছে।
দলীলঃ-
عن ابن عباس جاء أعرابي إلى النبى فقال أبصرت الهلال فقال أ تشهد ان لا إله الا الله و ان محمدا رسول الله قال نعم- قال قم يا بلال فأذن فى الناس أن يصوموا غدا


আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় তবে ঈদের চাঁদের জন্য ২জন পুরুষ বা ১ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলার সাক্ষ্য প্রয়োজন যে তারা চাঁদ দেখেছে আর রমজানের চাঁদের জন্য একজন মুসলমানের সাক্ষ্যই যথেষ্ট। তবে এক্ষেত্রে তাদের (أشهد) তথা আমি সাক্ষ্য দিচ্ছিশব্দ বলা শর্ত।
দলীলঃ-
عن ابن عباس جاء أعرابي إلى النبى فقال أبصرت الهلال فقال أ تشهد ان لا إله الا الله و ان محمدا رسول الله قال نعم- قال قم يا بلال فأذن فى الناس أن يصوموا غدا










বিশ্বের সর্বত্র একদিনে ঈদ পালন


সারা বিশ্বে একত্রে একদিনে ঈদ পালন করা যাবে কি নাবহুল আলোচিত এই মাসআলাটি ফিকহের কিতাবে উদয়াস্থলের ভিন্নতাতথা (إختلاف المطالع) এর মাসআলা নামে প্রসিদ্ধ।
উদয়াস্থলের ভিন্নতাতথা (إختلاف المطالع) নিয়ে নিম্নে আলোচনা উপস্থাপিত হল-
প্রকৃত এবং বাস্তব কথা হল إختلاف المطالع তথা উদয়াস্থলের ভিন্নতার অস্তিত্ব আছে।
এ মতবাদের দলীল হল-
আমরা জানি যে পৃথিবীতে চাঁদ ও সূর্য দুটোই বিদ্যমান। তবে কোথাও চাঁদ আর কোথাও সূর্য। পৃথিবীর যে অংশে সূর্য সে অংশে দিন আর যে অংশে চাঁদ সে অংশে রাত আবার কোথাও চাঁদ পূর্ণ দেখা যায় আবার কোথাও অপূর্ণ।
এখন আলোচনার বিষয় হল উদয়াস্থলের ভিন্নতা থাকা অবস্থায় ইসলামী শরীয়তের হুকুমে এটা ধর্তব্য হবে কি না?
এ ব্যপারে ফুকাহাগণ তিনটি মতামত ব্যক্ত করেছেন যা নিম্নে বিস্তারিত উপস্থাপিত হল।

প্রথম মতঃ-
ইমাম আবু হানীফা থেকে বর্ণিত, উদয়াস্থলের ভিন্নতা শরীয়তে ধর্তব্য নয়। এটাকে জাহেরুর রেওয়াহ বলা হয়।
দুররুল মুখতার এ আছে, (জাহেরুল মাজহাব) প্রকাশ্য মতবাদ অনুযায়ী উদয়াস্থলের ভিন্নতা গ্রহণযোগ্য নয়। অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম এ মত অবলম্বন করেছেন। অতএব যখন পশ্চিমা দেশগুলোতে চাঁদ দেখা যাবে প্রাচ্যের দেশগুলোতে তা অনুসরণ করতে হবে।
প্রকৃত উদয়াস্থলের ভিন্নতার ব্যপারে কারো মতানৈক্য নেই। অর্থাৎ দুটি শহরের দূরত্বের কারনে একটিতে রাতে চাঁদ উদিত হয় অপরটিতে নয় যেমনভাবে সূর্যোদয়। অর্থাৎ সূর্য কিছুটা উদিত হয় তখন কোন অঞ্চলে ভোর হয়, কোন অঞ্চলে সন্ধা, কোন অঞ্চলে দ্বিপ্রহর আর কোন অঞ্চলে মধ্যরাত কিন্তু মতানৈক্য হল, “যে প্রত্যেক অঞ্চলে তাদের উদয়াস্থল অনুযায়ী ঈদ বা রোযা ওয়াজিব হবে, না অন্য উদয়াস্থলের কারণে কোন কিছু আবশ্যক হবেএ ব্যপারে।

ফতওয়া আলমগিরীতে উল্লেখ আছেঃ
إختلاف المطالع তথা উদয়াস্থলের ভিন্নতার গ্রহণযোগ্যতা নেই। এমনটিই রয়েছে ফতওয়া কাজীখানে। ফকীহ আবুল লাইসের ফতওয়া এর উপর। শামসুল আয়িম্মা হালওয়ানীও এই ফতওয়া দিতেন। তিনি বলেন যদি পশ্চিমারা রমজানের চাঁদ দেখে তবে পূর্বাঞ্চলের লোকদের উপর রোজা ওয়াজিব হবে।

দ্বিতীয় মতঃ-
প্রত্যেক অঞ্চলে প্রত্যেক অবস্থায় উদয়াস্থলের ভিন্নতা গ্রহণযোগ্য।
দলীলঃ
তিরমিযীতে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের হাদীসঃ-
حدثنا علي بن حجر أخبرنا إسماعيل بن جعفر أخبرنا محمد بن أبي حرملة أخبرني كريب "أن أم الفضل بنت الحارث بعثته إلى معاوية بالشام، قال: فقدمت الشام فقضيت حاجتها واستهل علي هلال رمضان وأنا بالشام فرأينا الهلال ليلة الجمعة، ثم قدمت المدينة في آخر الشهر فسألني ابن عباس ثم ذكر الهلال فقال: متى رأيتم الهلال؟ فقلت: رأيناه ليلة الجمعة، فقال: أنت رأيته ليلة الجمعة؟ فقلت رآه الناس فصاموا وصام معاوية، فقال: لكن رأيناه ليلة السبت فلا نزال نصوم حتى نكمل ثلاثين يوما أو نراه، فقلت ألا تكتفي برؤية معاوية وصيامه؟ قال: لا هكذا أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ".
قال أبو عيسى: حديث ابن عباس حديث حسن صحيح غريب. والعمل على هذا الحديث عند أهل العلم أن لكل أهل بلد رؤيتهم.



তৃতীয় মতঃ-
তৃতীয় মত হল নিকটবর্তী অঞ্চলে উদয়াস্থলের ভিন্নতা ধর্তব্য নয়, তবে দূরবর্তী অঞ্চলের উদয়াস্থলের ভিন্নতার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এটা এজন্য যে, নিকটবর্তী এলাকায় পার্থক্য সামান্য হয় আর দূরবর্তী অঞ্চলে পার্থক্য হয় বেশী। এ মতটিকে আল্লামা যায়লাঈ ও বাদায়েয়গ্রন্থপ্রণেতা প্রাধান্য দিয়েছেন। বাদায়েয়গ্রন্থপ্রণেতা বলেন, এটা তখন যখন দুটি শহরের দূরত্ব অল্প হয় এবং উদয়াস্থল ভিন্ন হয় না। অতএব যখন শহর দুটি দূরবর্তী হয় তখন এক শহরের হুকুম/বিধান অপর শহরে আবশ্যক করা যাবে না। কেননা বেশি দূরত্বের কারণে উদয়াস্থল ভিন্ন হয়ে যায়। সুতরাং প্রত্যেক অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য তাদের অঞ্চলের উদয়াস্থলই ধর্তব্য অন্য শহরটি নয়।

দলীলঃ 
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি প্রত্যেক শহরের জন্য শহরবাসীর চাঁদ দেখা আবশ্যক মনে করতেন।


পাকিস্তানের মুফতী শফী (রহঃ) ও মাওলানা শিব্বীর আহমদ উসমানী (রহঃ) ফাতহুল মুলহিম এ লিখেন-
কোরআন হাদীসের আলোকে একথা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত যে, চন্দ্র মাস কখনও ২৯ দিনের কম ও ৩০ দিনের বেশি হয় না। অর্থাৎ ১ (চন্দ্র) মাস = ২৯/৩০ দিন।
বর্তমান যুগে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের যেকোন সংবাদ নেয়া সম্ভব। এখন যদি পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের উদয়স্থলের ধর্তব্য না থাকে তবে কোন কোন শহরে দেখা যাবে যে দূরবর্তী কোন শহর থেকে চাঁদ উদয়ের সংবাদ পাওয়া যাবে। এই অবস্থায় এই শহরকে ঐ শহরের হুকুমের অনুগামী করা হয় তবে ২৮ দিনে মাস হবে আবার কোন কোন পর্যায়ে দেখা যাবে ৩১ দিনে মাস হচ্ছে। অতএব আমরা বুঝতে পারলাম যে শরীয়ত নির্ধারিত মাসের দিন ঠিক থাকে না, যা সঠিক নয়।

ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) এর মতের কারণঃ-
মুফতী শফী’ (রহঃ) বলেন- ইমাম আবূ হানীফা ও অন্যান্য ইমামগণ উদয়স্থলের ভিন্নতা অগ্রাহ্য করার কারণ হল তখনকার সময়ে যে দুটো শহরের মাঝে পূর্ব-পশ্চিমের দূরত্ব বিদ্যমান, ১ দিনের ভিতর তার একটির সংবাদ অপরটিতে অসম্ভব ও কাল্পনিক ছিল। তাই তাঁরা إختلاف المطالع তথা উদয়াস্থলের ভিন্নতা কে অগ্রাহ্য করেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে মোবাইল, টেলিফোন, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তেই বিশ্বের একপ্রান্তে বসে অপর প্রান্তের খবর নেয়া যায় এবং বিমানের বদৌলতে অল্প সময়ের মধ্যেই পৃথিবীর যত্র তত্র পাওয়া সম্ভব। একদেশের সাক্ষী অপরদেশে সাক্ষ্য দেয়া নিত্যদিনের ঘটনায় রূপ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমাঞ্চলের সাক্ষীকে পূর্বাঞ্চলের জন্য দলীল বা প্রমাণ স্বরূপ গ্রহণ করা হয় তবে প্রথিবীর কতক স্থানে ২৮ দিনে আর কতক স্থানে ৩১ দিনে মাস হওয়া আবশ্যক হয়ে পরে তাই বর্তমান সময়ে إختلاف المطالع তথা উদয়াস্থলের ভিন্নতাকে অবশ্যই মানতে হবে।


 এছাড়াও যদি আমরা সারা বিশ্বের মুসলমান একদিনে ঈদ পালন করা কথাটার বাস্তবতা কতটুকু সেটাও প্রশ্নের উর্ধে নয়। কারন আমরা সকলে এক জায়গায়, এক অঞ্চলে বা এক দেশে বাস করি না। সুতারাং আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন, একদিনে ঈদ পালন আদৌ সম্ভব নয়। কারন তারিখ রেখা বলে একটা রেখা আছে যা বুঝায় যে, সমগ্র পৃথিবী জুড়ে কোনদিন একটি তারিখ থাকে না। আমেরিকায় যখন রবিবার জাপানে তখন সোমবার। প্রশ্ন থেকে যায় যদি আমরা একদিনে ঈদ করতে চাই তবে কোন অঞ্চলকে ভিত্তি ধরে ঈদ পালন করব? আমেরিকা না জাপান?

No comments:

Post a Comment